পাকিস্তান ও প্রতিবেশী দেশে ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বা সশস্ত্র সংঘাত বাড়লে সবচেয়ে বড় ক্ষতিগ্রস্ত হবে পাকিস্তানের অর্থনীতি — এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছে আন্তর্জাতিক ঋণমান নির্ধারণকারী সংস্থা মুডিস ইনভেস্টরস সার্ভিস।
এক বিবৃতিতে মুডিস জানায়, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, নিরাপত্তা হুমকি এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা যদি আরও বৃদ্ধি পায়, তাহলে পাকিস্তানে বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ হ্রাস পাবে, রপ্তানি আয়ে ধাক্কা লাগবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি হবে। এতে পাকিস্তানের চলমান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াও ভেঙে পড়তে পারে।
মুডিস-এর মতে, “আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি যদি খারাপের দিকে যায়, তাহলে এটি সরাসরি দেশটির ঋণ পরিশোধ সক্ষমতাকেও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।” তারা উল্লেখ করে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পাওয়া ও বহুপাক্ষিক অর্থায়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা কঠিন হবে।
বর্তমানে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) একটি জরুরি সহায়তা কর্মসূচির আওতায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিকে দ্রুত আর্থিক সংস্কার ও স্থিতিশীলতার পথে ফেরাতে হবে বলে মত দিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সতর্কবার্তা শুধু আর্থিক নয়, কূটনৈতিক পরামর্শ হিসেবেও বিবেচ্য। কারণ যে কোনো সামরিক উত্তেজনা দেশের অর্থনীতি ও জনগণের জীবনে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এদিকে পাকিস্তান সরকার এখন পর্যন্ত মুডিস-এর এই মন্তব্যের আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আন্তর্জাতিক সহায়তা টিকিয়ে রাখতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এখন সরকারের অগ্রাধিকার।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তাহীনতা কমাতে না পারলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে, যা পাকিস্তানের মুদ্রানীতি ও রপ্তানি খাতের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করবে।